শনিবার, ২৫ আগস্ট, ২০১৮

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ইতিহাস

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ( Bangladesh Student League – BSL / Bangladesh Chatro League ) বাংলাদেশের একটি প্রধান রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন। অবিভক্ত পাকিস্তানের সর্বপ্রথম ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ । এটি ভারত বিভক্তিক্রমে পূর্ব পাকিস্তানের  উদ্ভবের কিছু পর গঠিত হয়। ছাত্রলীগ  বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের শিক্ষাপ্রাতিষ্ঠানিক অঙ্গ সংগঠন হিসেবে পরিচিত। ঐতিহ্যবাহী এই ছাত্র সংগঠনটির জন্ম আওয়ামী লীগের এক বছর আগে। [ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এর ইতিহাস ] শিক্ষা, শান্তি ও প্রগতির পতাকাবাহী সংগঠন, জাতির মুক্তির স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া, জীবন ও যৌবনের উত্তাপে শুদ্ধ সংগঠন, সোনার বাংলা বিনির্মাণের কর্মী গড়ার পাঠশালা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। বিদ্যার সঙ্গে বিনয়, শিক্ষার সঙ্গে দীক্ষা, কর্মের সঙ্গে নিষ্ঠা, জীবনের সঙ্গে দেশপ্রেম এবং মানবীয় গুণাবলির সংমিশ্রণ ঘটিয়ে বাংলাদেশ  ছাত্রলীগ অতিক্রম করেছে পথচলার ৬৮ বছর। ছাত্রলীগের  প্রতিষ্ঠাতা  জাতির জনক বঙ্গবন্ধুঃ ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি সময়ের দাবিতেই বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সময়ের প্রয়োজন মেটাতেই এগিয়ে চলা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের। জন্মের প্রথম লগ্ন থেকেই ভাষার অধিকার, শিক্ষার অধিকার, বাঙালির স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠা, দুঃশাসনের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান, সর্বোপরি স্বাধীনতা ও স্বাধিকার আন্দোলনের ছয় দশকের সবচেয়ে সফল সাহসী সারথি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ( Bangladesh Student League – BSL / Bangladesh Chatro League ) । বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতা হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র বঙ্গবন্ধু বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় রাজপথে ছিলেন সদা সোচ্চার। রাষ্ট্রভাষা হিসেবে উর্দু চাপিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে ধর্মঘটে তিনি ও কয়েকজন সহকর্মীসহ গ্রেফতার হয়েছিলেন। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে আন্দোলন জোরালো করার ক্ষেত্রে ছাত্রলীগের ভূমিকা ছিল প্রণিধানযোগ্য। ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় অগ্রণী ভূমিকা  পালন করে।  ১৯৬২ সালে তৎকালীন আইয়ুব খান সরকার কর্তৃক গঠিত শরিফ কমিশন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর লক্ষ্য ও স্বার্থের অনুকূলে একটি গণবিরোধী শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছিল। সেই শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব প্রধান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা গণআন্দোলন ও গণজাগরণ তৈরি করে। সেই বাষট্টির রক্তঝরা দিনগুলোতে রক্ত ঝরেছে অসংখ্য ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর। ১৯৬৬ সালে বাঙালির স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার সনদ ছয় দফা বাস্তবায়নে শেখ মুজিবুর রহমান আস্থা রেখেছিলেন তরুণ ছাত্রনেতাদের ওপর। তিনি সে সময়কার ছাত্রনেতাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন, জেলায় জেলায় অবস্থান সুদৃঢ় করে ছয় দফার সপক্ষে ব্যাপক প্রচারণা চালাতে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা সারা বাংলার মানুষের কাছে বঙ্গবন্ধুর ঘোষিত ৬ দফা দাবির গুরুত্ব তুলে ধরেন। ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানেও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ছিল রাজপথের প্রমিথিউস। ছয় দফা নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে বিভেদ ছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ছয় দফার পক্ষে ছাত্রলীগের শক্ত অবস্থানের কারণে শেষ পর্যন্ত এ প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। সেদিন আওয়ামী লীগের বৈঠকের বাইরে কঠোর পাহারা বসাতে হয়েছিল ছাত্রলীগের কর্মীদেরই। ১৯৭০ এর নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন আওয়ামীলীগের নিরঙ্কুস জয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সক্রিয় অংশগ্রহনের মাধ্যমে  গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করেন।   একবিংশ শতাব্দীর বিশ্বের সর্ববৃহৎ ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের দীর্ঘ পথচলায় ছাত্রলীগ হারিয়েছে তার সহস্র্রাধিক নেতাকর্মীকে। ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ বঙ্গবন্ধু ছাত্রলীগের সমাবেশে বলেছিলেন, ‘দানবের সঙ্গে লড়াইয়ে যে কোনো পরিণতিকে মাথা পেতে বরণের জন্য আমরা প্রস্তুত। ২৩ বছর রক্ত দিয়ে এসেছি। প্রয়োজনবোধে বুকের রক্তগঙ্গা বইয়ে দেব। তবু সাক্ষাৎ মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়েও বাংলার শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করব না।’ তাই তো মুক্তিযুদ্ধে আমাদের প্রাণের সংগঠনের ১৭ হাজার বীর যোদ্ধা তাদের বুকের তাজা রক্তে এঁকেছেন লাল-সবুজের পতাকা, এঁকেছেন ৫৬ হাজার বর্গমাইলের এক সার্বভৌম মানচিত্র। সেসব বীর যোদ্ধাই আমাদের অনুপ্রেরণা, আমাদের শক্তি, আমাদের সাহস। ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতাকর্মীর মধ্যে আছে তরুণ মুজিবের নান্দনিকতা ও আদর্শ, আছে কাজী নজরুলের বাঁধ ভাঙার শৌর্য, আছে ক্ষুদিরামের প্রত্যয়, আছে সুকান্তের অবিচল চেতনা। তাই তো বাংলাদেশ ছাত্রলীগ শিক্ষার অধিকার রক্ষার পাশাপাশি জাতীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক স্বার্থ সুরক্ষায় সবসময় মঙ্গলপ্রদীপের আলোকবর্তিকা হয়ে ছড়িয়ে পড়ে চার দিগন্তে। যখন বাঙালি জাতি, বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু সমার্থক শব্দে পরিণত হয়েছিল, ঠিক তখনই বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাসের উজ্জ্বলতম নক্ষত্রটিকে নিভিয়ে দিতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হিংস্র হায়েনারা আঘাত হানে। প্রত্যক্ষ মদদ দিলেন খন্দকার মোশতাক আর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫-পরবর্তী বঙ্গবন্ধুবিহীন বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভাগ্যাকাশ যে কালো মেঘ গ্রাস করেছিল, সেই মেঘ সরাতে প্রত্যাশার সূর্য হাতে ১৯৮১ সালে প্রত্যাবর্তন করলেন আমাদের প্রাণের নেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। সেদিন প্রিয় নেত্রীর পাশে ভ্যানগার্ডের ভূমিকায় ছিল বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। সামরিক শাসনের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ১৯৮৩ সালে শিক্ষা আন্দোলন ও সর্বদলীয় ছাত্রঐক্যের ১০ দফা তৈরিতে নেতৃত্ব দেয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। শিক্ষার অধিকার প্রসারে শামসুল হক ও অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর কমিশনের রিপোর্ট তৈরিতে ছাত্র সমাজের পক্ষে জোরালো অবস্থান নেয় ছাত্রলীগ । ১৬ কোটি বাঙালির প্রাণের স্পন্দন, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের সুনিপুণ কারিগর, বিশ্বজয়ী নেত্রী, বিশ্বশান্তির অগ্রদূত, নারীমুক্তির পথপ্রদর্শক দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ১৯৮৮ সালের ভয়াবহ বন্যার ক্ষতি মোকাবেলায় পালন করেছে অগ্রণী ভূমিকা। সে সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে দিনে তিনবেলা নিজ হাতে রুটি তৈরি করেছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সারারাত জেগে প্রস্তুত করেছেন খাবার স্যালাইন। সেগুলো পৌঁছে দেওয়া হয়েছে দুর্গম এলাকার মানুষের কাছে। প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালের বন্যাসহ সব প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ একই কার্যক্রম নিয়ে বিপর্যস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। ১৯৯৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র বেতন বৃদ্ধির প্রতিবাদে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে সর্বাত্মক আন্দোলন গড়ে তুলেছিল ছাত্রলীগ। ২০০২ সালের ২৩ জুলাই বিএনপির পেটোয়া পুলিশ বাহিনী ও ছাত্রদলের ক্যাডাররা গভীর রাতে শামসুন্নাহার হলে ঢুকে ছাত্রীদের শারীরিকভাবে নির্যাতন করে। ছাত্রলীগ সেদিন শামসুন্নাহার হলের ছাত্রীদের সম্ভ্রমহানির হাত থেকে রক্ষা করে ও দোষীদের বিচারের দাবিতে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে। ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই বিতর্কিত সেনাশাসিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে আটক আমাদের প্রিয় নেত্রীর মুক্তি আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ চত্বরে প্রথম সাহসী উচ্চারণ তুলেছিল বঙ্গবন্ধুর ছাত্রলীগের কর্মীরাই। [ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এর  ইতিহাস ] বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কাজী নজরুলের কবিতার মতোই ‘মম এক হাতে বাঁকা বাঁশের বাঁশরী; আর হাতে রণ তূর্য।’ আন্দোলন-সংগ্রামের পাশাপাশি দুস্থ শিশুদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ, রক্তদান, বৃক্ষরোপণ, পথশিশুদের জন্য ভ্রাম্যমাণ পাঠদান কর্মসূচি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দীর্ঘদিনের চর্চা। ১৯৭৩ সালের ৪ মার্চ বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমানকে বেটে খাওয়ালেও বাংলা সোনার বাংলা হবে না, যদি বাংলাদেশের ছেলে আপনারা সোনার বাংলার সোনার মানুষ পয়দা করতে না পারেন।’ তাই তো বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতাকর্মীর ব্রত সোনার মানুষ হওয়ার। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তার সোনালি অতীতের মতো সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়বে। আর সে জন্যই দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রচেষ্টায় ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতাকর্মী তাদের মেধা ও শ্রম দিয়ে সর্বোচ্চ অবদান রাখছেন। ‘রূপকল্প-২০২১’ বাস্তবায়নে প্রযুক্তি দক্ষ ছাত্রসমাজ তৈরিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কাজ করছে ও করবে। সাম্প্রতিক সময়ে ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে ১৯ দফা দাবি পেশ করেছে। ভবিষ্যতেও ছাত্রলীগ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ শিক্ষাসেবা প্রাপ্তির নিশ্চয়তাকল্পে কাজ করবে। নবীনদের মেধা দেশ গড়ার কাজে লাগুক, স্বাধীনতার মূলমন্ত্রে বিধৌত হোক নতুন প্রজন্মের বিবেক ও চেতনা। অনাগত প্রজন্মের লড়াই হোক সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে আর মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে, সব অশুভ শক্তিকে পেছনে ফেলে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রেখে, দেশগড়ার প্রত্যয়ে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।  সৌজন্যেঃ ছাত্রলীগ ওয়েবসাইট

biplobibd.com

মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৭

হাইব্রিড লীগ

তাঁরা নির্লজ্জ বিব্রত হাইব্রিড নেতা সময়ের বাঁশি অসময়ের কাঁটা দল বা দেশের প্রতি আনুগত্য ভালবাসা নিয়ে পথচলা নয় তাদের, তাঁরা চলেছে নিজের সার্থকে প্রাধান্যে দিয়ে। মিঃ হাইব্রিড চেনার উপায়ঃ- ১| তাঁরা নির্লজ্জ হয় ২| অধিকাংশ হাইব্রিড নেতার টাকা বেশি ৩| অনেক হাইব্রিড নেতা গাড়ি চরে ৪ | হাইব্রিডরা নিজেকে অনেক বড়ো নেতা মনে করে দলের জন্য মিঃ হাইব্রিড আর্শীবাদ না অভিশাপ -?

বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

The burden of the refuge of Myanmar for Bangladesh

Renowned ambassador to Indonesia, Rina Pritiyasimarasi Swimarno, met Prime Minister Sheikh Hasina at her office on Tuesday. Photo: Focus Prime Minister Sheikh Hasina has urged the international community to pressurize the country to bring back Myanmar citizens to Bangladesh. Sheikh Hasina called on the Indonesian Ambassador to Indonesia Rina Pritiyasimarasi to meet Swammano at her office on Tuesday. After the meeting, Prime Minister's Press Secretary Ihsanul Karim told this to the reporters. The Prime Minister said, "To provide shelter to a large number of people in Myanmar, a great burden for Bangladesh. We only gave shelter to them on humanitarian grounds. ' The Prime Minister said, 'Our policy is very clear, No one will be allowed to use our territory to carry out subversive activities in neighboring countries. " The Bangladesh Ambassador praised the Bangladesh government for providing shelter to a large number of Myanmar people, considering that Bangladesh took appropriate steps in this regard. Pointing out the establishment of diplomatic relations between Bangladesh and Indonesia in May 1972, Sheikh Hasina said that friendship and cooperation between the two countries has been prevailing since then. He underscored the importance of greater economic cooperation between the countries of South Asia and Southeast Asia and said that it will benefit the countries of the two regions more. Referring to the initiative of establishing 100 special economic zones of the government for the country and foreign investors, the Prime Minister urged Indonesia to invest in this economic zone for mutually beneficial purposes. The Indonesian Ambassador said, Economic cooperation between the two countries has been increasing since last few years. They want to be a development partner of Bangladesh for a long time. He conveyed the interest of Indonesia to set up LNG-based power plants capable of generating 1600 megawatt of electricity in Bangladesh and setting up a pharmaceutical factory in joint venture.

মঙ্গলবার, ৩০ মে, ২০১৭

নিজ নির্বাচনী এলাকার কাউকে চিনেন না-কামরুল ইসলাম


বিএনপির দুর্গ ঢাকা-২ (কেরানীগঞ্জ-সাভার) আসন থেকে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী কামরুল ইসলাম। সরেজমিনে দেখা যায়, আওয়ামী লীগের আট বছরের শাষন আমলে কেরানীগঞ্জ-সাভার এলাকার কিছু উন্নয়ন হলেও পরিবেশের তেমন উন্নতি হয়নি। কামরুল ইসলাম দুইবার সংসদ সদস্য হয়েই পৃথক দুই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন। তার প্রতি এলাকার জনগণের আশা অনেক বেশি থাকলেও তেমন পূরণ হয়নি।ৎ কামরাঙ্গীচর রসুলপুর ব্রীজ সংলগ্নে বাতাস যেন দুর্গন্ধে ভরা। ময়লা-আর্বজনায় ভরা দৃষ্টি দেয়া বড় কষ্টের। রসুলপুরে এক ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বিডি২৪লাইভকে বলেন, আমরা কাজ করে খাই, রাজনীতির খবর রাখার সময় পাই না। তবে শান্তিতে ব্যবসা করছি এটা বলতে পারি। আগামীতে কে নির্বাচন করবে বলতে পারি না। তবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছাড়া অন্য কাউকে দেখি না। সূত্রমতে, সংসদ সদস্য হওয়ার পর এলাকার কয়েকজন নেতাকর্মীর নাম জানলেও তিনি অনেককেই চেনেন না। নেতাকর্মীদের সঙ্গে খুব বেশি যোগাযোগ ও রাখেন না কামরুল ইসলাম। বিগত সময়ের তুলনায় গত আট বছরে খুব বেশি দৃশ্যমান উন্নয়নও হয়নি এলাকায়। যার কারণে গত আট বছরে দলের নেতাকর্মী, সমর্থক ও সাধারণ জনগণের মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তা অনেকটাই কমে গেছে। তবে দশম জাতীয় নির্বাচনের পর এলাকাবাসীর প্রতি কামরুল ইসলাম বিশেষ দৃষ্টি দিয়েছেন বলে জানা যায়। তিনি কামরাঙ্গীচর রনি মার্কেটে ২য় তলায় মাঝে মাঝে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সময় দেয়। খোজঁ-খবর নেন এলাকাবাসীর। পূর্ব রসুলপুর রনি মার্কেট “মোতালেব সুপার মার্কেট” গুলশানারা শাড়ী হাউজের ব্যবসায়ী মো. ওমিত বলেন, ধূলা-বালি আর দুর্গন্ধ আমাদের সঙ্গি। আমাদের এলাকার পরিবেশ বলে দেয় আমরা কেমন আছি। এলাকার উন্নয়নে অনেক কাজ আশা করি আমাদের এমপির কাছে। যদিও তিনি অনেক ব্যস্ত তাই হয়তো এলাকায় তেমন সময় দিতে পারেন না। দীর্ঘ ৩২ বছর পর নবম ও দশম সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-২ (কেরানীগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগ জয়ী হয়েছে। এর আগে ওই আসনটি বিএনপি নেতা আমানুল্লাহ আমানের দুর্গ বলে পরিচিত ছিল। কিন্তু গত আট বছরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সাংসদের তেমন কোন আশারূপ ঘনিষ্ঠতা হয়নি। নেতাকর্মীদের অভিযোগ, সাংসদ কামরুল ইসলাম স্থানীয় বাসিন্দা না হওয়ায় এলাকার মানুষের সঙ্গে তাঁর দেখা-সাক্ষাৎ কম হয়। গত আট বছরে এলাকার সঙ্গে তার তেমন যোগাযোগ না থাকায় দুরত্ব আরো বেড়েছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে তার সম্পর্কে বিরূপ মনোভাব তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. মো. মিসবাহ্ উদ্দিন সিরাজ বিডি২৪লাইভকে বলেন, তারাই জনগণের কাজ করে যারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়।ভোটের রাজনীতিতে তারা অবশ্যই মানুষের কাজে ভোট চাইবে। আওয়ামী লীগ একটি বড় দল। আগামীতে দল কাকে মনোনয়ন দিবে তা বিভিন্ন বিষয়। যাদের ইমেজ ভাল, যারা মানুষের কল্যানে কাজ করতে পারবে আশা করি দল তাদেরকেই মূল্যায়ন করবে। তিনি বলেন, আমাদের প্রায় প্রতিটি আসনেই একাধীক প্রার্থী আছে। বর্তমান সংসদ সদস্য ছাড়াও অন্য নেতারা তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে। তাদের যোগ্যতা ও ইমেজের উপর নির্ভর করবে কে দলের টিকিট পাবে। তবে যারা বর্তমান সংসদ সদস্য রয়েছে তাতের কাজের মূল্যায়ন করা হবে। ভাল কাজ করলে, মানুষের কাজে গ্রহণযোগ্যতা থাকলে তারাই মনোনয়ন দৌঁড়ে এগিয়ে থাকবে। অন্যথায় নতুন মুখ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। অবস্থান : ঢাকা-২ আসনটি ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার আমিনবাজার ইউনিয়ন, তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন ও ভাকুর্তা ইউনিয়ন, কেরানিগঞ্জ উপজেলার কিছু অংশ, ঢাকা মেট্রোপলিটন কামরাঙ্গীরচর ও হাজারীবাগ থানার সুন্দরগঞ্জ ইউনিয়ন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৫৫, ৫৬ 

রবিবার, ৯ এপ্রিল, ২০১৭

"বঙ্গবন্ধু" সাংগঠনিক পিতা

শিক্ষা শান্তি প্রগতি 

#শেখ-হাসিনা যখন প্রধানমন্ত্রী, 

পিতার আদর্শে দৃপ্ত শপথ'নেত্রী'ত্ব, পিতার স্বপ্নে স্বদেশ গড়ার লক্ষ্যে অবিচল ৭১স্বাধীনতা ২১অর্জন ৪১পূর্ণতা।