পৃষ্ঠাসমূহ

মঙ্গলবার, ৩০ মে, ২০১৭

নিজ নির্বাচনী এলাকার কাউকে চিনেন না-কামরুল ইসলাম


বিএনপির দুর্গ ঢাকা-২ (কেরানীগঞ্জ-সাভার) আসন থেকে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী কামরুল ইসলাম। সরেজমিনে দেখা যায়, আওয়ামী লীগের আট বছরের শাষন আমলে কেরানীগঞ্জ-সাভার এলাকার কিছু উন্নয়ন হলেও পরিবেশের তেমন উন্নতি হয়নি। কামরুল ইসলাম দুইবার সংসদ সদস্য হয়েই পৃথক দুই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন। তার প্রতি এলাকার জনগণের আশা অনেক বেশি থাকলেও তেমন পূরণ হয়নি।ৎ কামরাঙ্গীচর রসুলপুর ব্রীজ সংলগ্নে বাতাস যেন দুর্গন্ধে ভরা। ময়লা-আর্বজনায় ভরা দৃষ্টি দেয়া বড় কষ্টের। রসুলপুরে এক ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বিডি২৪লাইভকে বলেন, আমরা কাজ করে খাই, রাজনীতির খবর রাখার সময় পাই না। তবে শান্তিতে ব্যবসা করছি এটা বলতে পারি। আগামীতে কে নির্বাচন করবে বলতে পারি না। তবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছাড়া অন্য কাউকে দেখি না। সূত্রমতে, সংসদ সদস্য হওয়ার পর এলাকার কয়েকজন নেতাকর্মীর নাম জানলেও তিনি অনেককেই চেনেন না। নেতাকর্মীদের সঙ্গে খুব বেশি যোগাযোগ ও রাখেন না কামরুল ইসলাম। বিগত সময়ের তুলনায় গত আট বছরে খুব বেশি দৃশ্যমান উন্নয়নও হয়নি এলাকায়। যার কারণে গত আট বছরে দলের নেতাকর্মী, সমর্থক ও সাধারণ জনগণের মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তা অনেকটাই কমে গেছে। তবে দশম জাতীয় নির্বাচনের পর এলাকাবাসীর প্রতি কামরুল ইসলাম বিশেষ দৃষ্টি দিয়েছেন বলে জানা যায়। তিনি কামরাঙ্গীচর রনি মার্কেটে ২য় তলায় মাঝে মাঝে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সময় দেয়। খোজঁ-খবর নেন এলাকাবাসীর। পূর্ব রসুলপুর রনি মার্কেট “মোতালেব সুপার মার্কেট” গুলশানারা শাড়ী হাউজের ব্যবসায়ী মো. ওমিত বলেন, ধূলা-বালি আর দুর্গন্ধ আমাদের সঙ্গি। আমাদের এলাকার পরিবেশ বলে দেয় আমরা কেমন আছি। এলাকার উন্নয়নে অনেক কাজ আশা করি আমাদের এমপির কাছে। যদিও তিনি অনেক ব্যস্ত তাই হয়তো এলাকায় তেমন সময় দিতে পারেন না। দীর্ঘ ৩২ বছর পর নবম ও দশম সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-২ (কেরানীগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগ জয়ী হয়েছে। এর আগে ওই আসনটি বিএনপি নেতা আমানুল্লাহ আমানের দুর্গ বলে পরিচিত ছিল। কিন্তু গত আট বছরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সাংসদের তেমন কোন আশারূপ ঘনিষ্ঠতা হয়নি। নেতাকর্মীদের অভিযোগ, সাংসদ কামরুল ইসলাম স্থানীয় বাসিন্দা না হওয়ায় এলাকার মানুষের সঙ্গে তাঁর দেখা-সাক্ষাৎ কম হয়। গত আট বছরে এলাকার সঙ্গে তার তেমন যোগাযোগ না থাকায় দুরত্ব আরো বেড়েছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে তার সম্পর্কে বিরূপ মনোভাব তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. মো. মিসবাহ্ উদ্দিন সিরাজ বিডি২৪লাইভকে বলেন, তারাই জনগণের কাজ করে যারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়।ভোটের রাজনীতিতে তারা অবশ্যই মানুষের কাজে ভোট চাইবে। আওয়ামী লীগ একটি বড় দল। আগামীতে দল কাকে মনোনয়ন দিবে তা বিভিন্ন বিষয়। যাদের ইমেজ ভাল, যারা মানুষের কল্যানে কাজ করতে পারবে আশা করি দল তাদেরকেই মূল্যায়ন করবে। তিনি বলেন, আমাদের প্রায় প্রতিটি আসনেই একাধীক প্রার্থী আছে। বর্তমান সংসদ সদস্য ছাড়াও অন্য নেতারা তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে। তাদের যোগ্যতা ও ইমেজের উপর নির্ভর করবে কে দলের টিকিট পাবে। তবে যারা বর্তমান সংসদ সদস্য রয়েছে তাতের কাজের মূল্যায়ন করা হবে। ভাল কাজ করলে, মানুষের কাজে গ্রহণযোগ্যতা থাকলে তারাই মনোনয়ন দৌঁড়ে এগিয়ে থাকবে। অন্যথায় নতুন মুখ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। অবস্থান : ঢাকা-২ আসনটি ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার আমিনবাজার ইউনিয়ন, তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন ও ভাকুর্তা ইউনিয়ন, কেরানিগঞ্জ উপজেলার কিছু অংশ, ঢাকা মেট্রোপলিটন কামরাঙ্গীরচর ও হাজারীবাগ থানার সুন্দরগঞ্জ ইউনিয়ন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৫৫, ৫৬